Posts

সমাজ সংস্কারের আধুনিক পদ্ধতি, সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হোসাইনী

ইসলামী সমাজ সংস্কার: উদ্দেশ্য, দায়িত্ব ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ "আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, অতিশয় দয়ালু।" --- ইসলামী আন্দোলনের মূলপ্রাণ: মুসলিম সমাজের সংস্কার ইকামতে দ্বীনের আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো মুসলিম সমাজকে ইসলামের আদর্শে গড়ে তোলা এবং বাস্তব জীবনে ইসলামের উজ্জ্বল নমুনা হিসেবে উপস্থাপন করা। এমন সমাজ গঠন করতে হবে, যা কেবল কথার মাধ্যমে নয়—চরিত্র, আচরণ ও সামাজিক ন্যায়ের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্যকে প্রতিফলিত করে। বিশেষত সেসব দেশে, যেখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে ইসলামী আন্দোলনের জন্য এই কাজটি অগ্রাধিকারের শীর্ষে থাকা উচিত। কারণ, একটি দুর্নীতিগ্রস্ত, আত্মমুখী ও আত্মবিস্মৃত মুসলিম সমাজের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ইসলামের আহ্বান কার্যকর হতে পারে না। ইসলামের শিক্ষা থেকে মুসলিমদের ব্যবহারিক বিচ্যুতি দাওয়াতের পথে এক বিশাল প্রতিবন্ধক। ভারতের মতো বহুজাতিক সমাজে দাওয়াতের কাজ গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা শুরু হতে হবে নিজের ঘর থেকেই। যদি মুসলমানদের জীবনেই ইসলাম অনুপস্থিত থাকে, তবে ইসলামের সৌন্দর্য অন্যের কাছে পৌঁছবে কীভাবে? --- দ...

মাহে রমজান মুমিনদের আত্মগঠন ও প্রশিক্ষণের জন্য এক অনন্য চির বিপ্লবের সেরা মাস..

 মাহে রমজান মুমিনদের আত্মগঠন ও প্রশিক্ষণের জন্য এক অনন্য চির বিপ্লবের সেরা মাস.. fরমজান মাস সিয়াম সাধনা ও তাকওয়ার মাস, কল্যাণ ও বরকতের মাস, রহমত ও মাগফিরাত এবং জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি লাভের মাস। মহান আল্লাহ এ মাসটিকে বহু ফজিলত ও মর্যাদা দিয়ে অভিষিক্ত করেছেন। মাহে রমজান মুমিনদের আত্মগঠন ও প্রশিক্ষণের জন্য এক অনন্য সেরা মাস। এ মাসের একটি ফরজ ইবাদাত অন্য মাসের ৭০টি ফরজ ইবাদাতের সমান। রমজান মাস আমাদের জন্য বার্ষিক প্রশিক্ষণের মাস। এ মাসে আছে সাহরি, ইফতার, তারাবিহ, ইতিকাফ, লইলাতুল কদর, ফিতরা ও ঈদুল ফিতর। কুরআন নাজিল হয়েছে এ মাসের লাইলাতুল কদরে, সংঘটিত হয়েছে ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদর ও বিজয় হয়েছে পবিত্র মক্কা। কাজেই আত্মগঠন ও বিজয়ের মাস রমজান। মাহে রমজান ইসলামের আদর্শকে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছানোর এক সুবর্ণ সুযোগ। দীর্ঘ ১১টি মাস অতিক্রম করে প্রতি বছর এ পবিত্র মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে হাজির হয় অজস্র-অফুরন্ত রহমত ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে। মুসলিম মিল্লাতের জন্য রহমতস্বরূপ এ মাসটি আত্মগঠন, নৈতিক উন্নতি, চারিত্রিক দৃঢ়তা, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর সমাজ গঠন এবং সামাজিক সাম্যের নিশ্চয়তা বিধানের এ...

কুরআনের ১০০ নির্দেশনা

 কুরআনের ১০০ নির্দেশনা- ০১. কথাবার্তায় কর্কশ হয়ো না। (০৩ঃ১৫৯) ০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করো (০৩ঃ১৩৪)। ০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করো। (০৪ঃ ৩৬) ০৪. অহংকার করো না। (০৭ঃ ১৩) ০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করো (০৭ঃ ১৯৯) ০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলো। (২০ঃ ৪৪) ০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবে না। (৩১ঃ ১৯) ০৮. অন্যকে উপহাস করবে না (৪৯ঃ ১১) ০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করো। (১৭ঃ ২৩) ১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবে না। (১৭ঃ ২৩) ১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবে না। (২৪ঃ ৫৮) ১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখো। (০২ঃ ২৮২) ১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবে না। (০২ঃ ১৭০) ১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিও। (২ঃ ২৮০) ১৫. কখনো সুদের সাথে জড়িত হবে না। (০২ঃ ২৭৫) ১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবে না। (০২ঃ১৮৮) ১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে না। (০২.১৭৭) ১৮. আস্থা রাখো (০২ঃ ২৮৩) ১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবে না। (২:৪২) ২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবে। (০৪ঃ ৫৮) ২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যেও। (০৪: ১৩৫) ২২. মৃতদের সম্পদ তাদের পরিবারের...

রিসালাত সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

 রিসালাত সম্পর্কে কুরআনের আয়াত আল্লাহতায়ালার উপর ঈমান আনার সাথে সাথে রিসালাতের উপরও ঈমান আনতে হবে। রিসালাত সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন- (۱) وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولاً أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطاغوت - (النحل : ٣٦) (১) প্রত্যেক জাতির মধ্যে আমি একজন রাসূল পাঠিয়েছি, যিনি এই বলে তাদের আহবান জানিয়েছিলেন আল্লাহর বন্দেগী করো এবং তাগুতের আনুগত্য পরিহার করো। (۲) وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ . (২) মুহাম্মদ একজন রাসূল ব্যতীত কিছু নন। তাঁর পূর্বেও অনেক রাসূল বিগত হয়েছেন। (আলে-ইমরান-১৪৪) (۳) قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ * (৩) হে মুহাম্মদ বলে দাও, আমি তো তোমাদেরই মতো একজন মানুষ মাত্র। তবে (পার্থক্য এই যে) আমার নিকট অহী অবতীর্ণ হয়। (কাহাফ-১১১) (٤) قُلْ لا أَمْلِكُ لِنَفْسِي ضَرًا وَلَا نَفْعًا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ . (৪) হে মুহাম্মদ বলো। আমার নিজের জন্য কোনো প্রকার লাভ ও ক্ষতির এখতিয়ার আমার নেই। তবে আল্লাহ চাইলে সেটা ভিন্ন কথা। (ইউনুস-৪৯) (٥) أُوحِيَ إِلَى هَذَا الْقُرْآنُ لِأَنْذِرَكُمْ بِهِ وَمَنْ بَ...

তাওহীদ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

 তাওহীদ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত তাওহীদ মানে একত্ববাদ। অর্থাৎ আল্লাহতায়ালাকে এক বলে জানা ও এক বলে স্বীকার করা আল্লাহতায়ালা তাঁর অস্তিত্ব ও গুণাবলীতে সম্পূর্ণ এক ও একক। তার সত্ত্বা সম্পূর্ণ অবিভাজ্য ও অখন্ডনীয়। তাঁর খোদায়ী গুণরাজি সম্পূর্ণ পূত-পবিত্র এবং শুধুমাত্র তাঁরই জন্যে নির্দিষ্ট। তিনি এক ও অনন্য। (1)  قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ * اللَّهُ الصَّمَدُ ، لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ * وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ  (১) হে নবী বলে দাও, তিনি আল্লাহ এক। আল্লাহ সবকিছু থেকে মুখাপেক্ষী হীন। সবকিছুই তাঁর মুখাপেক্ষী। না তাঁর কোনো সন্তান আছে আর না তিনি কারো সন্তান। তাঁর সমতুল্য কেউই নেই। (ইখলাস) (۲) وَالْهُكُمْ الهُ وَاحِدٌ - لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ . (২) তোমাদের ইলাহ এক ও একক ইলাহ্। সেই রহমান ও রহীম ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই। (বাকারা-১৬৩) (۳) اللهُ لا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ * (৩) তিনি আল্লাহ! তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী। (বাকারা-২৫৫) (٤) قُلْ إِنَّمَا هُوَ الهُ وَاحِدٌ . * (৪) আপনি ঘোষণা করে দিন, তিনি এক ও একক ইলাহ। (আনয়াম-...